Wednesday, June 9, 2021

আপত্তি: যে ব্যক্তি পিতার পেনশনের অর্থ চুরি করে খরচ করে সে কীভাবে ইমাম মাহদী হয়?


মূল উদ্ধৃতি:

৪৯) হযরত মির্যা বশির আহমদ এম. এ. (রা.) বলেন, হযরত আম্মাজান আমার কাছে বর্ণনা করেন, যুবক বয়সে হযরত মসীহ মাওউদ (আ.) তোমার দাদার পেনশন তুলতে যান। পেছন পেছন মির্যা ইমামুদ্দীনও যায়। তিনি (আ.) যখন পেনশন তুললেন তখন সে তাঁকে (আ.) ফুসলিয়ে এবং ধোঁকা দিয়ে কাদিয়ান ফেরার পরিবর্তে অন্য কোথাও নিয়ে যায় এবং এদিক ওদিক ঘুরাফেরা করতে থাকে। এরপর সে যখন সমস্ত অর্থ ব্যয় করে ফেলে তখন তাঁকে (আ.) ফেলে অন্য কোথাও চম্পট দেয়। 

আপত্তির জবাব: উক্ত ঘটনা ভালো করে পড়লে দেখা যায়, হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আ.) নিজ থেকে অর্থ নিয়ে চলে যান নি বরং অন্যের দ্বারা ধোঁকায় পড়েছেন। নিজে অর্থ ব্যয় করেন নি বরং মির্যা ইমামুদ্দীন ব্যয় করেছে। হযরত মসীহে মাওউদ (আ.) এই ঘটনায় খুব বিব্রত ছিলেন। ফলে তিনি অনুতপ্ত হন এবং চাকুরি করে দিনাতিপাত করা সমীচিন মনে করলেন। তবে মনে রাখতে হবে, অনুতাপকারী আল্লাহর কাছে গ্রহণীয়তার মর্যাদা লাভ করে।

প্রশ্ন হল, পূর্বের কোন নবী কি এমন ধোঁকায় পড়েছেন? উত্তর হল, হ্যাঁ। বরং পূর্বের এক মহান নবীকে এক ব্যক্তি আরো ভয়ানকভাবে প্ররোচিত করে তাঁর দ্বারা এমন কাজ করানো হয়েছে, যার ফলে তাঁকে দেশান্তরিত হতে হয়েছে। পালিয়ে থাকতে হয়েছে বহু বছর। হ্যাঁ আপনারা ঠিক ধরেছেন, আমি হযরত মূসা (আ.) এর কথা বলছি।

চলুন সূরা কাসাসের সেই ঘটনা শুনি:

তিনি (তথা মূসা) শহরে প্রবেশ করলেন, যখন তার অধিবাসীরা ছিল বেখবর। তথায় তিনি দুই ব্যক্তিকে লড়াইরত দেখলেন। এদের একজন ছিল তাঁর নিজ দলের এবং অন্য জন তাঁর শত্রু দলের। অতঃপর যে তাঁর নিজ দলের সে তাঁর শত্রু দলের লোকটির বিরুদ্ধে তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করল। তখন মূসা তাকে ঘুষি মারলেন এবং এতেই তার মৃত্যু হয়ে গেল। মূসা বললেন, এটা শয়তানের কাজ। নিশ্চয় সে প্রকাশ্য শত্রু, বিভ্রান্তকারী। তিনি (তথা মূসা) বললেন, হে আমার পালনকর্তা, আমি তো নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি। অতএব, আমাকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ তাকে ক্ষমা করলেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু। (সূরা কাসাস: ১৫-১৬)

আল্লাহ্ তা’লা হযরত মূসা (আ.)-কে ক্ষমা করেছিলেন এবং পরবর্তীতে নবুয়্যতের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছিলেন।

হে আপত্তিকারীগণ! এখন কি আপনারা মূসা (আ.)-এর বিরুদ্ধেও আপত্তি করা শুরু করবেন?

আপনাদেরকে আরো একটি উপমা দিচ্ছি। হযরত আদম (আ.)-এর বিষয়ে পবিত্র কুরআনে কী লেখা আছে। 

চলুন সূরা আরাফের সেই ঘটনা দেখে আসি। আল্লাহ্ বললেন:

'হে আদম! তুমি ও তোমার সঙ্গিনী এই বাগানে বসবাস করো, আর যেখান থেকে তোমরা চাও আহার করো, কিন্তু এই বৃক্ষের ধারেকাছেও যেও না, তাহলে তোমরা অন্যায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’’ তারপর শয়তান তাদের কুমন্ত্রণা দিলে যেন সে তাদের কাছে প্রকাশ করতে পারে তাদের লজ্জার বিষয়ের যা তাদের কাছে গোপন ছিল, তাই সে বললে -- ''তোমাদের প্রভু এই গাছের থেকে তোমাদের নিষেধ করেন নি এই জন্য ছাড়া যে তোমরা ফিরিশ্‌তা হয়ে যাবে কিংবা তোমরা হবে চিরজীবীদের অন্তর্ভুক্ত।’’ আর সে তাদের কাছে কসম খেলো -- ''নিঃসন্দেহ আমি তো তোমাদের জন্য সদুপদেশদাতাদের মধ্যেকার।’’ এভাবে সে তাদের বিপথে চালালো প্রতারণার দ্বারা, অতঃপর তারা যখন বৃক্ষের আস্বাদ গ্রহণ করলো, তখন তাদের লজ্জা তাদের কাছে প্রকাশ পেলো, আর তারা তাদের আবৃত করতে লাগলো সেই বাগানের পাতা দিয়ে। আর তাদের প্রভু তাদের ডেকে বললেন -- ''আমি কি তোমাদের নিষেধ করি নি ঐ বৃক্ষ সন্বন্ধে, আর তোমাদের তো আমি বলেইছি যে শয়তান তোমাদের জন্য প্রকাশ্য শত্রু?’’ ( (সূরা আরাফ: ১৯-২২)

হে আপত্তিকারীগণ! আপনারা কি আদম (আ.)-এর বিরুদ্ধেও আপত্তি করেন?

আশা করি সবার কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেছে।

Tuesday, April 20, 2021

আপত্তি: মির্যা সাহেবের মিরাক তথা উন্মাদনার রোগ ছিল

 

উত্তর: 

১. মিরযা সাহেব যদি পাগল হতেন তাহলে কেউ তার বিরোধিতা করতো না। সম্মিলিতভাবে তার বিরোধিতা প্রমাণ করে মিরযা সাহেব পাগল ছিলেন না। 

২. পূর্ববর্তী নবীদেরকেও বিরুদ্ধবাদীরা পাগল বলে আখ্যায়িত করেছে এবং মানুষকে একথা বলে দূরে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। যেমন মহানবী (সা.)-কেও একই অপবাদ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ এই আপত্তির উত্তর কী দিয়েছেন? বলেছেন, কলম ও দোয়াত এবং যা লেখা হচ্ছে তা সাক্ষী আল্লাহর ফজলে তুমি পাগল নও। অতএব, মিরযা সাহেব যেসব নিগূড় তত্ত্ব উপস্থাপন করে গেছেন যেসব দলিল প্রমাণ দিয়ে গেছেন সেসব প্রমাণ করছে যে মিরযা সাহেব পাগল নন।

৩. রূহানী খাযায়েন ১৭শ খণ্ড, পৃ. ৪১৯, মিরযা সাহেব বলেন, (উর্দু হতে ভাবার্থ) প্লেগ, উন্মাদনা, অন্ধত্ব-এমন রোগ হলে মানুষ বলে যে, তার ওপর আল্লাহর গযব নাযেল হয়েছে। এক্ষেত্রে বারাহীনে আহমদীয়াতেই আল্লাহ্ আমাকে জানিয়েছেন আল্লাহ আমাকে সুসংবাদ দিয়েছেন যে, আমি তোমাকে এমন সব নোংরা ব্যাধী হতে সুরক্ষিত রাখবো এবং আমার নেয়ামত পূর্ণ করবো। 

অতএব, এই ভবিষ্যদ্বাণী সত্ত্বেও যদি মিরযা সাহেবের জীবদ্দশায় কেউ তার উন্মাদনার রোগ ছিল বলে উল্লেখ করে থাকে তাহলে আর কেউ কিছু বলুক বা না বলুক মিরযা সাহেব অবশ্যই এর প্রতিবাদ করতেন। তার কিছু না বলা প্রমাণ করে যা বলা হয়েছিল তা সিজোফ্রেনিয়া বা উন্মাদনা ছিল না অন্য কিছু ছিল।

৪. প্রাচীন চিকিৎসা শাস্ত্র তিব্বে আকবর (মূল আরবী) (উর্দুতেও অনুদিত হয়েছে)। এই গ্রন্থে مراق এর অধিনে তিনটি রোগের কথা উল্লেখ আছে যেগুলোকে মিরাক বলা হয়। প্রথম দু’টি হলো, মাথা ব্যাথা ও ডিপ্রেশন ও মানসিক ক্লান্তি সংশ্লিষ্ট আর তৃতীয়টি হলো উন্মাদনা যেটাকে সিজোফ্রেনিয়া বলা হয়ে থাকে। লক্ষ্য করুন, সিরাতে মাহদীর উদ্ধৃতিতেই উল্লেখ আছে যে, অতিরিক্ত পড়ালেখা ও লেখালেখির কাজ করার কারণে মানসিকভাবে মিরযা সাহেব ক্লান্ত হয়ে যেতেন এবং প্রচন্ড মাথা ব্যাথা হতো। 

এখন এটাকে যে কেউ হিস্টেরিয়া বা যে নামেই ডাকুক না কেন তা কেবলমাত্র মাথা ব্যাথা ও মানসিক প্রচন্ড চাপের কারণে মানসিক ক্লান্তিই ছিল।

৫. এছাড়া মিরযা সাহেব তার পুস্ত ইযালায়ে আওহাম রূহানী খাযাযেন ৩য় খণ্ড পৃ. ১২১ এ তিনি লিখেছেন যে, তার বিরুদ্ধে উন্মাদনার রোগ হয়েছে বলে আপত্তি করা হয়। এতে তিনি আনন্দ প্রকাশ করে বলেন যে, আল্লাহর ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয়েছে কেননা বারাহীনে আহমদীয়াতে আল্লাহ জানিয়েছিলেন তোমাকে পাগলও বলা হবে। অতএব যেখানে নবী-রসূলদেরকে পাগল বলা একটি সুন্নত ছিল প্রতিশ্রুত মসীহর ক্ষেত্রেও তা পূর্ণ হলো। 

এই আনন্দের উল্লেখ করে মিরযা সাহেব বলেন, যারা এমন আপত্তি করেন তারা আমার উপস্থাপিত দলিল প্রমাণ ও যুক্তি দেখে নিক আর এর বিপরীতে বিরুদ্ধবাদীদের দলিল প্রমাণ ও যুক্তি দেখে নিক তাহলেই সকলের কাছে স্পষ্ট হবে কে উন্মাদনার রোগে আক্রান্ত। 

Thursday, August 13, 2020

ইতিহাস কুরআনের কোন আয়াত নয় যে, এর মাঝে কোন ভুল তথ্য থাকতে পারে না। যেমন, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া পুস্তকের দ্বিতীয় অধ্যায়ে রসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর জন্মের উল্লেখ করতে গিয়ে লেখক একটি বর্ণনা উদ্ধৃত করেন যে, আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্দুল মোত্তালেবের যখন মৃত্যু হয় তখন রসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর বয়স দুই বছর ছিল। অথচ সকলের যানা আছে রসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর জন্মের জয় মাস পূর্বেই তার পিতার ইন্তেকাল হয়ে গিয়েছিল।

এখন আসা যাক মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আ.) তার পুস্তকে যে উল্লেখ করেছেন যে, মুহাম্মদ (সা.)-এর ১১ পুত্র সন্তান ছিল- এর উল্লেখ কোথাও পাওয়া যায় কিনা। ইতিহাস পড়ে দেখা যায় সিরাতে হালাবীতে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর স্ত্রীদের নামানুসারে সন্তানদের তালিকা নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নীচে সীরাতে হালাবীর প্রকাশিত উর্দূ অনুবাদের স্ক্যান্ড কপি সংযুক্ত করা হলো সেখানে হলুদ মার্কার দিয়ে ছেলেদের নামগুলো মার্ক করে দেয়া হয়েছে। দেখে নিন।




Saturday, July 18, 2020

কুরবানীর প্রেক্ষাপটে হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর কতিপয় ফতোয়া


প্রশ্ন: এক ব্যক্তি নিবেদন করেন, আমি কুরবানীর উদ্দেশ্যে কিছু টাকা জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আহমদীয়াতের কারনে আমাকে বয়কট করেছে। আমি সেই টাকা কাদিয়ানের মিসকিন ফাণ্ডে দিলে তা আমার কুরবানী বলে বিচেচিত হবে কি?
উত্তর: কুরবানীর পুণ্য কুরবানীর মাধ্যমেই লাভ হয়। মিসকিন ফাণ্ডে টাকা দিয়ে কুরবানীর পুণ্য লাভ করা সম্ভব না। অতএব সেই টাকা দিয়ে যদি একটা ছাগল ক্রয় করা সম্ভব হয় তবে তাই করো। আর তা-ও যদি সম্ভব না হয় তাহলে তোমার জন্য কুরবানী ফরজ নয়। (বদর পত্রিকা, নং: ৭, ষষ্ঠ খণ্ড, ১৪ ফেব্রুয়ারী ১৯০৭, পৃ.৮)

প্রশ্ন: কুরবানীর খাশি বা ছাগলের বয়স কত হওয়া বাঞ্চনীয়?
উত্তর: মৌলভী (হেকিম নুরুদ্দীন) সাহেবের কাছ থেকে জেনে নাও। আহলে হাদীস এবং হানাফীদের মাঝে এ বিষয়ে মতপার্থক্য আছে। মৌলভী (হেকিম নুরুদ্দীন) সাহেবের গবেষণামতে আহলে হাদীসের নিকট দুই বছরের কম বয়সী ছাগল কুরবানীর জন্য বৈধ নয়। (বদর পত্রিকা, নং: ৩, খণ্ড ৭, ২৩ জানুয়ারী ১৯০৮, পৃষ্ঠা: ২)
তবে ফিকাহ আহমদীয়ার মতে ছাগল বা খাশির বয়স কমপক্ষে এক বছর হওয়া উচিত। আর দুম্বা যদি মোটাতাজা হয় তাহলে ছয় মাস বয়সেরও হতে পারে।

প্রশ্ন: কুরবানীর জন্য বৈধ -এমন পশু যদি না পাওয়া যায় তাহলে ত্রুটিপূর্ণ পশু কুরবানী করা যাবে কি?
উত্তর: অপারগতার ক্ষেত্রে বৈধ। কিন্তু বর্তমান যুগে এমন অপারগতা তো নেই। তাই অযথা বাহানা খুঁজা বৈধ নয়। (বদর পত্রিকা, নং: ৩, খণ্ড ৭, ২৩ জানুয়ারী ১৯০০৮, পৃষ্ঠা: ২)

প্রশ্ন: তারগাড়ির অধিবাসী মিয়া ইসলামইল সাহেব লিখিতভাবে প্রশ্ন করেন যে, কুরবানীর গোশত অমুসলিমকে দেয়া যাবে কি?
উত্তর: সাদকা মুসলিম-অমুসলিম সবাইকে দেয়া যায়। অভাবি মিসকিন যদি কাফেরও হয় তবুও তাকে সাদকা দেয়া বৈধ। সামাজিক সম্প্রীতির উদ্দেশ্যেও অমুসলিমকে দাওয়াত দেয়া বৈধ। (বদর পত্রিকা, নং: ১, ষষ্ঠ খণ্ড, ১০ জানুয়ারী ১৯০৭, পৃষ্ঠা: ১৮)

প্রশ্ন: এক ব্যক্তি জানতে চেয়েছেন যে, আমরা যদি অল্প অল্প করে পয়সা জড় করে অআহমদীদের সাথে একত্রে কোন পশু যেমন গরু ইত্যাদি কুরবানী করি -এটি কি বৈধ হবে?
উত্তর: তোমাদের এমন কি অপারগতা দেখা দিয়েছে, যার কারণে তোমরা অন্যদের সাথে মিলিত হতে চাও? তোমাদের জন্য কুরবানী দেয়া যদি ফরয বা আবশ্যক হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে একটা ছাগল জবাই দিয়ে দিতে পার। আর এরও যদি সামর্থ না থাকে তাহলে তোমাদের জন্য কুরবানী করা তো বাধ্যতামূলক নয়। অন্যরা যারা তোমাদেরকে নিজেদের মাঝ থেকে বের করে দেয় আর কাফের আখ্যা দেয়, আবার তারা তোমাদের সাথে মিলিতও হতে চায় না। সেক্ষেত্রে তাদের সাথে মিলিত হবার তোমাদের প্রয়োজনটা কিসের? আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখো। (বদর পত্রিকা, নং: ৭, ষষ্ঠ খণ্ড, ১৪ ফেব্রুয়ারী ১৯০৭, পৃষ্ঠা: ৮)

প্রশ্ন: এক ব্যক্তি জানতে চেয়েছেন, আমাদের শহরে সর্বেশ্বরবাদী ফির্কার অনেক লোক আছে। তারা বাজারে অনেক কুরবানী করে থাকে। তাদের জবাইকরা পশু-পাখি খাওয়া যাবে কি?
উত্তর: যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা ঠিক না। সার্বিকভাবে মুশরিক অথবা কপটের কুরবানী পরিহার করুন। কিন্তু অধিক খুঁটে খুঁটে দেখা বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে। আল্লাহর নাম নিয়ে জবাই করা হলে এবং ইসলামী রীতি-নীতি দৃষ্টিতে রাখা হলে এমন সব জবাইকৃত প্রাণী খাওয়া বৈধ।
(বদর পত্রিকা, নং ২৭, তৃতীয় খণ্ড, ১৬ জুলাই ১৯০৪, পৃষ্ঠা ৪)

Wednesday, July 10, 2019

হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আ.)-এর সঠিক বয়স প্রসঙ্গ

হযরত ইমাম মাহদী ও মসীহ্ মাওউদ (আঃ)-কে সম্বােধনপূর্বক মহান আল্লাহ বলেছেন :
“সামানীনা হাওলান আও কারীবান্ মিন যালিকা” অর্থাৎ তােমার বয়স আশি বছর কিংবা এর কাছাকাছি হবে। (ইলহাম: ১৮৬৫ খৃঃ তাযকিরা পৃঃ ৭)
এ প্রসঙ্গে হুযুর (আ.) নিজেই লিখেছেন,

“এ প্রতিশ্রুতি সংশ্লিষ্ট ওহীর বাহ্যিক শব্দাবলী | চুয়াত্তর (৭৪) আর ছিয়াশি (৮৬)-র মাঝে আয়ু নির্ধারণ করছে (বারাহীনে আহমদীয়া ৫ম খন্ড, পরিশিষ্ট পৃঃ ৯৭, টীকা দ্রষ্টব্য)।

অন্য আরেক স্থানে একই প্রসঙ্গে হযরত আকদস (আঃ) লিখেছেনঃ 

“আশি অথবা এর চেয়ে পাঁচ-চার বেশি অথবা চার পাঁচ-চার কম” (হাকীকাতুল ওহী পৃঃ ৯৬)।

এ ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী হযরত আকদস মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়অনী (আঃ) সাড়ে পঁচাত্তর বছর বয়সেই মৃত্যুবরণ করেছেন।
আয়ু যাচাইয়ের পদ্ধতী:
কারাে আয়ু যাচাই করতে হলে দু'টো বিষয় জানা আবশ্যক:

Tuesday, May 7, 2019

আপত্তি: মির্যা সাহেব বলেছেন মহানবী (সা.)-এর ১২ জন কন্যাসন্তান ছিলেন!! ।।

উত্তর:
“দেখ, আমাদের নবীর ঘরে ১২ মেয়ের জন্ম হয়েছে।” (মলফূযাত, ৩য় খণ্ড, পৃ. 372)

প্রথম কথা হলো, এটি মলফূযাত ৩য় খণ্ড হতে নেয়া হয়েছে। পাঠকের জানা উচিত মলফূযাত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আ.)-এর নিজের লেখা