Thursday, August 13, 2020

ইতিহাস কুরআনের কোন আয়াত নয় যে, এর মাঝে কোন ভুল তথ্য থাকতে পারে না। যেমন, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া পুস্তকের দ্বিতীয় অধ্যায়ে রসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর জন্মের উল্লেখ করতে গিয়ে লেখক একটি বর্ণনা উদ্ধৃত করেন যে, আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্দুল মোত্তালেবের যখন মৃত্যু হয় তখন রসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর বয়স দুই বছর ছিল। অথচ সকলের যানা আছে রসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর জন্মের জয় মাস পূর্বেই তার পিতার ইন্তেকাল হয়ে গিয়েছিল।

এখন আসা যাক মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আ.) তার পুস্তকে যে উল্লেখ করেছেন যে, মুহাম্মদ (সা.)-এর ১১ পুত্র সন্তান ছিল- এর উল্লেখ কোথাও পাওয়া যায় কিনা। ইতিহাস পড়ে দেখা যায় সিরাতে হালাবীতে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর স্ত্রীদের নামানুসারে সন্তানদের তালিকা নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নীচে সীরাতে হালাবীর প্রকাশিত উর্দূ অনুবাদের স্ক্যান্ড কপি সংযুক্ত করা হলো সেখানে হলুদ মার্কার দিয়ে ছেলেদের নামগুলো মার্ক করে দেয়া হয়েছে। দেখে নিন।




Saturday, July 18, 2020

কুরবানীর প্রেক্ষাপটে হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর কতিপয় ফতোয়া


প্রশ্ন: এক ব্যক্তি নিবেদন করেন, আমি কুরবানীর উদ্দেশ্যে কিছু টাকা জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আহমদীয়াতের কারনে আমাকে বয়কট করেছে। আমি সেই টাকা কাদিয়ানের মিসকিন ফাণ্ডে দিলে তা আমার কুরবানী বলে বিচেচিত হবে কি?
উত্তর: কুরবানীর পুণ্য কুরবানীর মাধ্যমেই লাভ হয়। মিসকিন ফাণ্ডে টাকা দিয়ে কুরবানীর পুণ্য লাভ করা সম্ভব না। অতএব সেই টাকা দিয়ে যদি একটা ছাগল ক্রয় করা সম্ভব হয় তবে তাই করো। আর তা-ও যদি সম্ভব না হয় তাহলে তোমার জন্য কুরবানী ফরজ নয়। (বদর পত্রিকা, নং: ৭, ষষ্ঠ খণ্ড, ১৪ ফেব্রুয়ারী ১৯০৭, পৃ.৮)

প্রশ্ন: কুরবানীর খাশি বা ছাগলের বয়স কত হওয়া বাঞ্চনীয়?
উত্তর: মৌলভী (হেকিম নুরুদ্দীন) সাহেবের কাছ থেকে জেনে নাও। আহলে হাদীস এবং হানাফীদের মাঝে এ বিষয়ে মতপার্থক্য আছে। মৌলভী (হেকিম নুরুদ্দীন) সাহেবের গবেষণামতে আহলে হাদীসের নিকট দুই বছরের কম বয়সী ছাগল কুরবানীর জন্য বৈধ নয়। (বদর পত্রিকা, নং: ৩, খণ্ড ৭, ২৩ জানুয়ারী ১৯০৮, পৃষ্ঠা: ২)
তবে ফিকাহ আহমদীয়ার মতে ছাগল বা খাশির বয়স কমপক্ষে এক বছর হওয়া উচিত। আর দুম্বা যদি মোটাতাজা হয় তাহলে ছয় মাস বয়সেরও হতে পারে।

প্রশ্ন: কুরবানীর জন্য বৈধ -এমন পশু যদি না পাওয়া যায় তাহলে ত্রুটিপূর্ণ পশু কুরবানী করা যাবে কি?
উত্তর: অপারগতার ক্ষেত্রে বৈধ। কিন্তু বর্তমান যুগে এমন অপারগতা তো নেই। তাই অযথা বাহানা খুঁজা বৈধ নয়। (বদর পত্রিকা, নং: ৩, খণ্ড ৭, ২৩ জানুয়ারী ১৯০০৮, পৃষ্ঠা: ২)

প্রশ্ন: তারগাড়ির অধিবাসী মিয়া ইসলামইল সাহেব লিখিতভাবে প্রশ্ন করেন যে, কুরবানীর গোশত অমুসলিমকে দেয়া যাবে কি?
উত্তর: সাদকা মুসলিম-অমুসলিম সবাইকে দেয়া যায়। অভাবি মিসকিন যদি কাফেরও হয় তবুও তাকে সাদকা দেয়া বৈধ। সামাজিক সম্প্রীতির উদ্দেশ্যেও অমুসলিমকে দাওয়াত দেয়া বৈধ। (বদর পত্রিকা, নং: ১, ষষ্ঠ খণ্ড, ১০ জানুয়ারী ১৯০৭, পৃষ্ঠা: ১৮)

প্রশ্ন: এক ব্যক্তি জানতে চেয়েছেন যে, আমরা যদি অল্প অল্প করে পয়সা জড় করে অআহমদীদের সাথে একত্রে কোন পশু যেমন গরু ইত্যাদি কুরবানী করি -এটি কি বৈধ হবে?
উত্তর: তোমাদের এমন কি অপারগতা দেখা দিয়েছে, যার কারণে তোমরা অন্যদের সাথে মিলিত হতে চাও? তোমাদের জন্য কুরবানী দেয়া যদি ফরয বা আবশ্যক হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে একটা ছাগল জবাই দিয়ে দিতে পার। আর এরও যদি সামর্থ না থাকে তাহলে তোমাদের জন্য কুরবানী করা তো বাধ্যতামূলক নয়। অন্যরা যারা তোমাদেরকে নিজেদের মাঝ থেকে বের করে দেয় আর কাফের আখ্যা দেয়, আবার তারা তোমাদের সাথে মিলিতও হতে চায় না। সেক্ষেত্রে তাদের সাথে মিলিত হবার তোমাদের প্রয়োজনটা কিসের? আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখো। (বদর পত্রিকা, নং: ৭, ষষ্ঠ খণ্ড, ১৪ ফেব্রুয়ারী ১৯০৭, পৃষ্ঠা: ৮)

প্রশ্ন: এক ব্যক্তি জানতে চেয়েছেন, আমাদের শহরে সর্বেশ্বরবাদী ফির্কার অনেক লোক আছে। তারা বাজারে অনেক কুরবানী করে থাকে। তাদের জবাইকরা পশু-পাখি খাওয়া যাবে কি?
উত্তর: যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা ঠিক না। সার্বিকভাবে মুশরিক অথবা কপটের কুরবানী পরিহার করুন। কিন্তু অধিক খুঁটে খুঁটে দেখা বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে। আল্লাহর নাম নিয়ে জবাই করা হলে এবং ইসলামী রীতি-নীতি দৃষ্টিতে রাখা হলে এমন সব জবাইকৃত প্রাণী খাওয়া বৈধ।
(বদর পত্রিকা, নং ২৭, তৃতীয় খণ্ড, ১৬ জুলাই ১৯০৪, পৃষ্ঠা ৪)